সিপিএ মার্কেটিং কি? সিপিএ মার্কেটিং শেখার পূর্নাঙ্গ গাইডলাইন: আপনি যদি অনলাইন থেকে আয় নিয়ে আগ্রহী হয়ে থাকেন এবং এটি নিয়ে রিসার্চ করে থাকেন তাহলে CPA মার্কেটিং সম্পর্কে জানার কথা।
আর যদি আপনি না জেনেও থাকেন তাহলে কোন সমস্যা নেই আজকের এই পোস্টে আমরা সিপিএ মার্কেটিং কি, সিপিএ মার্কেটিং এর লাভ, কিভাবে সিপিএ মার্কেটিং করতে হয় তা নিয়ে সম্পূর্ণ ধারণা দিব।
যদি আপনার সিপিএ মার্কেটিং নিয়ে নূন্যতম আগ্রহ থাকে তাহলে আজকের এই পোস্টটি আপনার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ এবং তথ্যবহুল হতে যাচ্ছে। তাই পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়বেন।
CPA Marketing হলো ডিজিটাল মার্কেটিং এর একটি অংশ। যদি আপনি সিপিএ মার্কেটিং নিয়ে জানতে চান তাহলে আগে ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে জানতে হবে। চলুন জেনে আসি ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে।

ডিজিটাল মার্কেটিং কি?
একটা সময় মার্কেটিং বলতে আমরা বুঝতাম টিভিতে বিজ্ঞাপন দেওয়া, পোস্টার, লিফলেট বা বড় বড় সাইনবোর্ড লাগিয়ে নিজের পণ্য বা কোম্পানির প্রচার করা। এখনো আমরা পোস্টার, সাইনবোর্ড দেখতে পায় কিন্তু এখন মার্কেটিং ব্যাপারটাতে একটি নতুন বিষয় যুক্ত হয়েছে সেটি হলো ডিজিটাল মার্কেটিং।
আমরা সারাদিন বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় আমাদের নিজেদের অনেক সময়ই কাটায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে মার্কেটাররা চিন্তা করল কেমন হয় যদি আমরা মানুষকে হাতে হাতে লিফলেট বিতরণ না করে এসব সোশ্যাল মিডিয়ায় আমরা মানুষকে আমাদের কোম্পানির সম্পর্কে জানাতে পারি? এই প্রশ্নের উত্তর খুজতে মার্কেটাররা এটি প্রয়োগ করে দেখল। এবং তারা খুব ভালো একটি ফলাফল পেল।
এবং তখন থেকেই ব্যবসায়ী এবং মার্কেটারদের মার্কেটিং এর জন্য ডিজিটাল মার্কেটিং জনপ্রিয় হয়ে উঠে। এক কথায় ডিজিটাল মার্কেটিং হচ্ছে ডিজিটাল মিডিয়া বা ডিজিটাল টেকনোলজি ব্যবহার করে কোন পণ্য বা সার্ভিস ক্যাম্পেইন পরিচালনা করা।
আর দেখুন:
- এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লেখার নিয়ম (পূনার্ঙ্গ গাইডলাইন)
- অনলাইনে ইনকাম করার ২৬ টি উপায়
- অনলাইনে কোন কাজের চাহিদা বেশি? কোনটি আপনি করবেন?
সিপিএ মার্কেটিং কি? What is CPA Marketing in Bangla
CPA এর পূর্ণরূপ হলো Cost Per Action। অর্থাৎ এখানে আপনার ক্লায়েন্ট আপনাকে পেমেন্ট করবে প্রতিটা একশন পূর্ণ করার জন্য।
এখন আপনি নিশ্চই ভাবছেন একশন(action) কি? একশন(action) অনেক কিছুই হতে পারে। যেমনঃ- কোন একটি জায়গায় ইমেইল সাবমিট করা, জিপ কোড সাবমিট করা, কিছু ছোট প্রশ্নের উত্তর দেওয়া(সার্ভে), কোন এপ ইনস্টল করা ইত্যাদি।
আপনার ক্লায়েন্ট আপনাকে এই রকম কোন একটি একশন দিবে আপনি যতজন মানুষের দিয়ে এই একশন গুলো পূরণ করাবেন সেই হিসেবে আপনাকে টাকা দিবে।
কিছু কিছু একশনের দাম অনেক বেশি হয় যেমন PPC একশন যার মানে হলো Pay Per call। এখানে আপনার ক্লায়েন্ট আপনাকে একটি নম্বর দিবে আপনার দায়িত্ব হলো সেই নম্বরে কল করার জন্য মানুষকে আগ্রহী করা। এসব একশনের মূল্য ৫০-৬০ ডলার হয়৷ অর্থাৎ আপনি কোন মানুষকে ঐ নম্বরে কল দেওয়াতে পারলে ৫০-৬০ ডলার পাবেন।
কোন পণ্য বিক্রি করাও এক প্রকার একশন কিন্তু পণ্য বিক্রি করতে হলে সেটিকে এফিলিয়েট মার্কেটিং বলা হয়। সিপিএ মার্কেটিং এর একশন গুলো আবার কান্ট্রি বেসড হয় যেমনঃ- আপনার ক্লায়েন্ট আপনাকে বলবে USA থেকে যদি কোন মানুষকে আপনি একটি ওয়েবসাইটে ইমেইল সাবমিট করাতে পারেন তাহলে প্রতিজনের জন্য আপনাকে ১ ডলার দেওয়া হবে। এটি হলো USA ভিত্তিক একটি Email সাবমিট একশন।
আসা করি একশন বিষয়টি আপনি ক্লিয়ার হয়েছেন। সিপিএ মার্কেটিং করে আপনি প্রতি একশনে টাকা আয় করতে পারবেন।
CPA Marketing কি এটা জানার পর হয়ত মনে হচ্ছে অনেক কঠিন ব্যাপার এটি। ক্লায়েন্ট কোথায় পাব, একশনের জন্য বাংলাদেশ বসে কেমনে অন্য দেশের মানুষ পাব এমন অনেক প্রশ্ন আসছে মনের মধ্যে। আসুন আপনার সকল প্রশ্নের উত্তর দি।
সিপিএ অফার কোথায় পাব?
সিপিএ অফার গুলো আপনাকে অনেক কষ্ট করে খুজতে হবে না। কারণ অনেক ওয়েবসাইট আপনার জন্য শত শত সিপিএ অফার নিয়ে বসে আছে!! সুতরাং আপনাকে কষ্ট করে ক্লায়েন্ট থেকে কাজ খুজতে হবে না আপনার জন্য অনেক কাজ রেডি আছে শুধু ওয়েবসাইট গুলোতে লগ ইন করে আপনার কাজ বুঝে নিবেন।
পৃথিবীর সবচেয়ে বড় সিপিএ নেটওয়ার্ক(অর্থাৎ যেসব ওয়েবসাইটে সিপিএ অফার পাওয়া যায়) এর নাম বলতে বলা হলে আমি Maxbounty’র নাম বলব কারণ এখানে সব ধরণের একশনের কাজ পাওয়া যায় এবং প্রাইজ অনেক বেশি দেওয়া হয়৷
কিন্তু কষ্টকর বিষয় হলো বাংলাদেশ থেকে এই নেটওয়ার্ক গুলোতে একাউন্ট এপ্রুভ করে না। অনেকেই এসব একাউন্ট অন্যদের থেকে কিনে নেয় কিন্তু আমার পরামর্শ থাকবে আপনি যদি বিগিনার হন এসব নেটওয়ার্কে কাজ না করে অন্য নেটওয়ার্কে কাজ করুন যেগুলো থেকে বাংলাদেশে বসে ভালোভাবে কাজ করা যাবে।
চলুন আপনাদের সাথে এখন তেমনি কয়েকটা নেটওয়ার্ক শেয়ার করি।
আর দেখতে পারেন:
- ওয়েবসাইট তৈরির খরচ কত? এবং কি কি লাগে
- মোবাইল দিয়ে অনলাইনে ইনকাম করার ১৬টি সহজ উপায়
- ফেসবুক থেকে আয় করার সকল উপায়
আপনি যদি best cpa network লিখে গুগোলে সার্চ দেন তাহলে অনেক লম্বা একটি লিস্ট পাবেন যেখানের প্রথম দিকেই CPA lead এর নাম দেখতে পাবেন।
অর্থাৎ একটি বর্তমানে সেরা নেটওয়ার্ক গুলোর মধ্যে একটি। এবং মজার ব্যাপার হলো আপনি খুব সহজে বাংলাদেশে বসে এখানে একাউন্ট করে কাজ শুরু করতে পারেন।
এখানে আপনি অনেক অফার পাবেন যেগুলোর রেট একটু কম। তবে বিগিনারদের জন্য এটি একটি বেস্ট নেটওয়ার্ক। এখান থেকে আপনি খুব সহজে পেমেন্ট ও নিতে পারবেন কোন ঝামেলা ছাড়া।
adworkmedia আরেকটি জনপ্রিয় সিপিএ নেটওয়ার্ক যেখানে একাউন্ট খুলার জন্য আপনাকে প্রথমে একটি ফরম পূরণ করে এপ্লাই করতে হবে যদি আপনি সকল তথ্য সঠিক ভাবে দেন তাহলে আপনার একাউন্ট এপ্রুভ হয়ে যাবেন তেমন কোন কঠিন না।
বাংলাদেশ থেকে অনেকেই কাজ করে এখানে। এই নেটওয়ার্কে অনেক বেশি অফার রয়েছে আপনি আপনার মনের মতো যেকোন অফার নিতে পারবেন।
আপনি যদি ইমেইল এবং জিপ সাবমিট অফার নিয়ে কাজ করতে চান তাহলে CPA grip আপনার জন্য ভালো অপশন৷ এখানে email এবং জিপ সাবমিট অফার অনেক বেশি রয়েছে।
{বর্তমানে অনেকের কাছেই CPA Grip এর খারপ রিভিউ পাওয়া যাচ্ছে এবং অফারের পরিমানও আগের থেকে অনেক কমে গিয়েছে। }
সিপিএ মার্কেটিংয়ের কাজের(action) উদাহরণ
- E-mail/ Zip সাবমিট অফার।
- ক্রেডিট কার্ড সাবমিট অফার।
- ফরম ফিল আপ।
- প্রশ্ন উত্তর বা সার্ভে।
- এপ ইনস্টল।
- মোবাইল নম্বর সাবমিট এন্ড ভেরিফাই।
- ন্যাশনাল আইডি সাবমিট।
- ড্রাইভিং লাইসেন্স সাবমিট।
এগুলো হলো সিপিএ একশন যেগুলো আপনাকে মানুষের দিয়ে করাতে হবে। কিন্তু এখন আপনার মনে আরেকটি প্রশ্ন কাজ করছে কিভাবে সিপিএ মার্কেটিং করব? বা কিভাবে একশন পাব? চলুন এটি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করি।
সিপিএ মার্কেটিং করতে কি কি লাগে?
যদি আপনি সিপিএ পেইড মার্কেটিং করতে চান তাহলে আপনার প্রয়োজন অর্থ এবং জ্ঞান। পেইড মার্কেটিং করতে আপনার প্রথমে পেইড মার্কেটিং নিয়ে অনেক ভালো ভাবে রিসার্চ করতে হবে।
আর যদি ইউটিউবের মাধ্যমে করতে চান তাহলে একটি প্রোফেশনাল ইউটিউব চ্যানেল আর একটি ভালো মোবাইল ফোনই যথেষ্ট। ওয়েবসাইট দিয়ে সিপিএ মার্কেটিং করতে হলে প্রয়োজন হবেঃ-
- ডোমেইন।
- হোস্টিং
যদি আপনি চান তাহলতে বিনামূল্যেও ওয়েবসাইট তৈরি করে করতে পারেন তবে ডোমেইন হোস্টিং নিয়ে করলে আপনার কাজ আরো বেশি প্রোফেশনাল হবে।
ফেইসবুকে সিপিএ মার্কেটিং করতে হলে শুধু একটি ফেইসবুক আইডিই যথেষ্ট।
আর দেখুন:
- ফ্রিল্যান্সিং কি? | ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার পূর্নাঙ্গ গাইডলাইন
- গ্রাফিক্স ডিজাইন কি? | বর্তমান এর চাহিদা ও চাকরির সুযোগ
- ইমেইল মার্কেটিং কি? এবং ইমেইল মার্কেটিং শেখার সহজ উপায়
সিপিএ মার্কেটিং কিভাবে করবেন?
এতক্ষণ সিপিএ মার্কেটিং কি সম্পর্কে জেনে আপনার হয়ত এখনো মনে হচ্ছে সিপিএ মার্কেটিং অনেক কঠিন বিষয় কিন্তু আসলে মার্কেটিং ইন্ডাস্ট্রিতে সবচেয়ে সহজ এবং লাভজনক হলো এই সিপিএ মার্কেটিং।
আপনার হয়ত এখন মনে হচ্ছে মানুষ শুধু শুধু আমার আর ক্লায়েন্টের লাভের জন্য তাদের তথ্য কেন আমাদের দিবে! আসলেই আপনার ভাবনা ঠিক মানুষ শুধু শুধু তাদের তথ্য দিবেনা।মানুষ তথ্য দিবে নিজের স্বার্থে।
আপনার ক্লায়েন্ট অর্থাৎ আপনি যাদের থেকে অফারটি নিয়েছেন তারা আপনাকেতো প্রতি একশনে টাকা দিবে এবং আপনি যার দিয়ে একশন পুরন করিয়েছেন তাকেও কিছু না কিছু দিয়ে পুরস্কৃত করবেন।
যেমনঃ- যে ইমেইল সাবমিট করবে সে একটি গিফট কার্ড গিভওয়েতে(লটারি) অংশগ্রহণের সুযোগ পাবে, আবার যদি কেউ তাদের ক্রেডিট কার্ড সাবমিট করে তাহলে কোন একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইটে ডিসকাউন্ট পাবে ২০% এভাবে যে তথ্য দিবে সে নিজেও লাভবান হবে আপনিও লাভবান হবেন।
সিপিএ সহজ বলছি তার কারণ হলো এখানে অফারের মালিক(ক্লায়েন্ট) নিজেই মানুষকে একশন পুরোন করার জন্য নানা ডিসকাউন্ট/গিভওয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দর্শককে তথ্য দিতে আগ্রহী করবে। আপনার কাজ হবে শুধু দর্শকে সেই পেইজে পাঠানো যেখানে সে একশন পূরণ করবে।
সিপিএ মার্কেটিং করার আগে আপনাকে যেকোন একটি সিপিএ নেটওয়ার্ক থেকে অফার কালেক্ট করতে হবে। নিজের মনের মতো একটি অফার কালেক্ট করবেন তারপরে দেখবেন আপনার কালেক্ট করা অফারটি কোন দেশের জন্য।
সেটি দেখার পর আপনাকে অফারের ল্যান্ডিং পেজটি( যেই পেইজে আপনি মানুষকে পাঠাবেন একশন ফিল আপের জন্য) দেখে বুঝে নিবেন আপনার অফারটি কি সম্পর্কিত। একটি উদাহরণ দিয়ে বুঝায়।
মনে করুন আপনি একটি অফার সিলেক্ট করেছেন USA’র এবং ল্যান্ডিং পেইজে গিয়ে দেখলেন যে ইমেইল সাবমিট করবে সে একটি গুগোল গিফট কার্ড গিভওয়েতে অংশ গ্রহণ করতে পারবে অর্থাৎ অফারটি গিফট কার্ড রিলেটেড এবং একশন হলো ইমেইল সাবমিট কান্ট্রি হলো USA।
তারপরে ওখানে আপনাকে একটি লিংক দিবে যেখানে আপনার মানুষকে পাঠাতে হবে একশন ফিল আপের জন্য। আপনি সেই লিংকটি সংগ্রহ করে রাখবেন।
এখন আপনার মূল কাজ। সেটা হলো মানুষকে ঐ লিংকে পাঠানো। সব মানুষকে পাঠালে হবে না USA’র যেসব মানুষ গুগোল গিফট কার্ড নিয়ে আগ্রহী তাদেরকে পাঠাতে হবে কারন আমাদের অফারটি USA ভিত্তিক গিফট কার্ড রিলেটেড অফার। মানুষকে আপনার কাঙ্ক্ষিত লিংকে দুই পদ্বতি পাঠানো যাবে।
- পেইড পদ্ধতি।
- ফ্রী পদ্ধতি।
চলুন দুটি পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করি।
সিপিএ পেইড পদ্ধতি ( CPA Paid method)
পেইড পদ্ধতি মানে বুঝতেই পারছেন এই পদ্ধতিতে আপনার টাকা খরচ করতে হবে। অর্থাৎ আপনাকে টাকা খরচ করে বিভিন্ন জায়গায় বিজ্ঞাপন দিতে হবে আপনার অফারটির এবং বিজ্ঞাপনটি শুধু USA’র মানুষদেরই দেখাতে হবে। কয়েকটি বিজ্ঞাপন পদ্ধতি হলোঃ-
- Pop up ads.
- Pop under ads.
- Banner ads.
- Native ads.
- Push Notification ads.
- FACEBOOK ads.
Pop up ads
যদি কোন ওয়েবসাইটে Pop Up এডস থাকে তাহলে কোন মানুষ গিয়ে ঐ ওয়েবসাইটে ক্লিক করে তাহলে তাকে অন্য একটি ওয়েবসাইটে নিয়ে যাওয়া হয়।
যদি আপনি আপনার সিপিএ লিংকটি Pop up ads দ্ধারা প্রোমোট করতে চান তাহলেও এটি মানুষদের অন্য একটি ওয়েবসাইট থেকে আপনার ল্যান্ডিং পেইজ নিয়ে আসবে। যদি আপনি কান্ট্রি USA সিলেক্ট করেন তাহলে শুধু USA’র মানুষদেরই আপনার ল্যান্ডিং পেইজে নিয়ে আসবে।
Pop under ads
আপনি যদি Pop under ads এর মাধ্যমে প্রোমোট করতে চান তাহলে কোন pop under এড নেটওয়ার্কে আপনার ল্যান্ডিং পেইজের লিংক, কান্ট্রি সিলেক্ট করে দিবেন তারপরে ঐ এড নেটওয়ার্ক গুলো তাদের পাবলিশার দের ওয়েবসাইটে আপনার লিংক সেট করে দিবে।
যখন আপনার টার্গেটেড কান্ট্রির মানুষ ঐ ওয়েবসাইটে ক্লিক করবে তখন তার ব্রাউজারে আরেকটি ট্যাবে আপনার ল্যান্ডিং পেইজ ওপেন হবে। কিন্তু এখানে ডিরেক pop up ads এর মতো রিডাইরেক্ট হবে না।
আর আপনার জন্য:
- ব্লগিং কি? কিভাবে ব্লগিং করে টাকা আয় করবেন?
- অনলাইনে আর্টিকেল লিখে আয় করার পূনার্ঙ্গ গাইডলাইন ২০২১
- ফ্রিতে ওয়েবসাইট তৈরি | বিনামূল্যে ওয়েবসাইট বানানোর নিয়ম
Banner ads

আপনি আপনার অফার রিলেটেড একটি আকর্ষণীয় banner তৈরি করে তার মধ্যে আপনার ল্যান্ডিং পেইজের লিংক দিয়ে দিবেন। তারপরে আপনি যেই এড নেটওয়ার্কে এড দিবেন সেখানে আপনার টার্গেটেড লোকেশন সেট করে banner টি আপলোড দিবেন।
সেই নেটওয়ার্ক তাদের পাবলিশারদের ওয়েবসাইটে যখন আপনার টার্গেটেড লোকেশনের মানুষ আসবে তাদের আপনার banner টি দেখাবে যদি তারা আগ্রহী হয় তাহলে banner এ ক্লিক করে আপনার ল্যান্ডিং পেইজে যাবেন।
Native ads

এটির ক্ষেত্রেও আপনাকে একটি ব্যানার বা একটি আকর্ষণীয় টেক্সট সাজিয়ে তা এড নেটওয়ার্কে দিতে হবে তারপরে ঐ নেটওয়ার্ক তাদের পাবলিশারদের পোস্টের ভিতরে আপনার এড দেখাবে। যখন কোন মানুষ ঐ পোস্ট পড়তে আসবে তখন তাদের এডটি এমন ভাবে দেখানো হবে যেন এটি পোস্টেরই একটি অংশ। যার ফলে মানুষ নেটিভ এড গুলোতে সহজেই ক্লিক করে।
Push notification ads
আমরা অনেকেই দেখেছি আমাদের মোবাইলে ডাটা কানেকশন অন করলে অনেক ধরনের নোটিফিকেশন শো করে আমাদের মোবাইলে থাকা কোন ব্রাউজার বা কোন এপ এ ধরনের এড গুলো শো করাই।
অনেক সময় আকর্ষণীয় কিছু দেখলে আমরা এসব নোটিফিকেশনে ক্লিকও করি। এটাকে Push Notification ads বলে।আপনি একটি আকর্ষণীয় টাইটেল লিখে তার মধ্যে আপনার ল্যান্ডিং পেইজের লিংক যুক্ত করে এড নেটওয়ার্কে দিবেন তারা এভাবেই মানুষের মোবাইলে নোটিফিকেশন পাঠাবে।
Facebook ads
আমরা সবাই এটার সাথে পরিচিত। যদি আমরা আমাদের অফারটি ফেইসবুকের মাধ্যমে প্রোমোট করতে চায় তাহলে ফেইসবুকে বিজ্ঞাপন দিব এবং আমাদের টার্গেটেড মানুষের নিউসফিডে এই বিজ্ঞাপন শো করবে।
আমরা বিজ্ঞাপনের পদ্ধতি গুলো এবং কোন বিজ্ঞাপন কিভাবে কাজ করে তা নিয়ে সাধারণ কিছু আলোচনা করলাম। কিন্তু যদি আপনি সত্যিই পেইড মেথডে এসব বিজ্ঞানের মাধ্যমে আপনার অফার প্রোমোট করতে চান তাহলে এসব বিজ্ঞাপন, এড নেটওয়ার্ক ( যাদের মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিবেন) নিয়ে আরো ভালো ভাবে রিসার্চ করতে হবে।
কারন বিজ্ঞাপন দেওয়ার ক্ষেত্রে অনেক বিষয় রয়েছে যেগুলো না মানলে আপনার বিজ্ঞাপন থেকে কোন একশন পাবেন না এবং আপনার টাকা নষ্ট হবে। একটি পোস্টের মাধ্যমে সেসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করা সম্ভব নয়।
এবং কোন এড নেটওয়ার্ক ভালো কোনটি খারাপ সেই বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে হবে কোনো এড নেটওয়ার্কে টাকা দেওয়ার আগে তাদের রিভিউ দেখে নিবেন। যারা পেইড মেথডে কাজ করে তারা কিভাবে এড রান করে এসবের ভিডিও দেখেবেন ইউটিউবে তারপরে আপনি পেইড মেথডে আসবেন।
সিপিএ মার্কেটিং ফ্রী পদ্ধতি (CPA Marketing Free Method)
সিপিএ মার্কেটিং ফ্রী পদ্ধতিতে করতে হলে আপনার কোন টাকা খরচ হবে না কিন্তু আপনাকে দিতে হবে সময় এবং শ্রম। ফ্রীতে সিপিএ মার্কেটিং করার উপায় গুলো হলোঃ-
- ইউটিউবের মাধ্যমে।
- ওয়েবসাইটের মাধ্যমে।
- ফেইসবুকের মাধ্যমে।
ইউটিউবের মাধ্যমে সিপিএ মার্কেটিং
আপনি চাইলে ইউটিউবের মাধ্যমে ফ্রীতে সিপিএ মার্কেটিং করতে পারেন। তার জন্য আপনার ইউটিউব চ্যানেলে অবশ্যই ইংরেজি কন্টেন্ট থাকতে হবে যাতে পুরো বিশ্বের সকলে আপনার ভিডিও দেখতে পারে।
আপনি যেকোন বিষয়ে আপনার ভিডিও বানাতে পারেন কিন্তু ভিডিওর মাঝখানে এই অফারটির কথা দর্শকদের বলে দিবেন। তারা কিভাবে এই অফার খেকে উপকৃত হবে তাও বলে দিবেন এবং ডেসক্রিপশন বক্সে আপনার অফারের লিংক দিয়ে দিবেন।
এভাবে আপনার ইউটিউব চ্যানেল যত বেশি গ্রো হবে আপনার আয় তত বেশি হবে এছাড়াও আপনি চাইলে সিপিএ মার্কেটিং এর পাশাপাশি ইউটিউবের মাধ্যমে অনেক উপায়ে আয় করতে পারেন তা জনতে এখানে ক্লিক করুন।
ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সিপিএ মার্কেটিং
আপনি একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে তার মধ্যে ইংরেজি কন্টেন্ট দিতে পারেন এবং আপনার ওয়েবসাইটের বিভিন্ন জায়গায় আপনার অফারের লিংক বসিয়ে অফারটি প্রোমোট করতে পারেন।
যখন আপনার ওয়েবসাইটে ট্রাফিক আসবে তখন তারা ঐ অফারটি দেখে সেখানে ক্লিক করবে। এভাবেই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে নানা সিপিএ অফার প্রোমোট করতে পারেন।
কিন্তু তার জন্য আপনার ওয়েবসাইটে অনেক বেশি ট্রাফিক থাকতে হবে। তার জন্য দরকার প্রোপার SEO। ঠিক ভাবে এসইও করলে এবং ভালো কন্টেন্ট দিলে একদিন আপনার ওয়েবসাইটে ভালো ট্রাফিক আসা শুরু হবে।
যত বেশি ট্রাফিক আসবে আপনার ইনকাম তত বেশি হবে। আপনি সিপিএ মার্কেটিং ছাড়া ও আরো অনেক ভাবে ওয়েবসাইট থেকে আয় করতে পারেন তা নিয়ে জানতে এখানে ক্লিক করুন।
ফেইসবুকের মাধ্যমে সিপিএ মার্কেটিং
আপনি যে বিষয় নিয়ে সিপিএ অফার প্রোমোট করবেন সেই বিষয় সম্পর্কিত নান গ্রুপে যুক্ত হয়ে মানুষদের আপনার অফারটির সম্পর্কে বলতে পারেন।
যেমনঃ- আপনি যদি গুগোল গিফট কার্ড অফার প্রোমোট করেন তাহলে ফেইসবুকে “Free google gift card” লিখে সার্চ দিলে অনেক গ্রুপ আসবে যারা গুগোল গিফট কার্ড নিয়ে আগ্রহী তাদেরকে আপনার অফারটি শেয়ার করবেন একটি পোস্টের মাধ্যমে। পোস্টে আপনি সুন্দর ভাবে আপনার অফারটিকে উপস্থাপন করবেন।
সিপিএ মার্কেটিং এর লাভ কি?
আপনার মনে প্রশ্ন আসতে পারে আপনি কেন এফিলিয়েট মার্কেটিং না করে সিপিএ মার্কেটিং করবেন। বা সিপিএ এবং এফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের মধ্যে কোনটি লাভজনক।
এফিলিয়েট মার্কেটিং থেকেও সিপিএ মার্কেটিং বেশি লাভজনক এবং সহজ তার কারন হলো এফিলিয়েট মার্কেটিংয়ে আপনাকে কমিশন দেওয়া হয় প্রতি সেলে। অর্থাৎ যদি কোন প্রোডাক্ট আপনি সেল করতে পারেন তাহলেই আপনার কমিশন আসবে।
কিন্তু সিপিএ মার্কেটিংয়ে কিছু বিক্রি করতে হবে না আপনি মানুষকে তাদের কিছু তথ্যের বিনিময়ে কোন একটি অফার বা গিভওয়েতে নিবেন। সিপিএ মার্কেটিংয়ে মানুষ যেটি পাচ্ছে তা হলো বিনামূল্যে কিন্তু এফিলিয়েটে মানুষকে টাকা দিয়ে কিনে নিতে হয়।
সবাই টাকা খরচ করে পণ্য কিনতে চায় না কিন্তু বিনামূল্যে কিছু দেওয়া হলে তা সবাই নিতে চায়। সুতরাং বুঝতেই পারছেন এফিলিয়েট থেকে সিপিএ অফারগুলোর প্রতি মানুষের আগ্রহ বেশি থাকবে। এবং সবার এটিতে আগ্রহ থাকায় এটি মার্কেটিং করাও আপনার জন্য সহজ ব্যাপার।
সিপিএ মার্কেটিং কি হালাল?
বর্তমানে অনেক মুসলিমদের মধ্যে এই কমন প্রশ্নটি থাকে। যদি আপনি এমন একটি অফার সিলেক্ট করেন যেটি হারাম বা যেটি মানুষকে প্রতারিত করবে তাহলে তখন আপনার জন্য এটি হারাম হবে।
যদি এমন অফার নিয়ে কাজ করেন যেগুলো মানুষের উপকার করে তাহলে অবশ্যই তখন সেটি হালাল হবে। তাই কোন একটি অফার সিলেক্ট করার আগে অবশ্যই সেই অফারটির সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে তারপরে তার মার্কেটিংয়ে নামবেন।
অনেকেই অর্থের লোভে ডেটিং অফার প্রোমোট করে আপনি যদি একজন মুসলিম হন তাহলে ডেটিং অফার গুলো থেকে বিরত থাকবেন। বাংলাদেশে যেসব সিপিএ নেটওয়ার্ক সাপোর্ট করে সেগুলোতে অনেক অফার স্প্যমি করে তাই এসব বিষয়ে একটু সচেতন থাকবেন। সবসময় সৎ থাকার চেষ্টা করবেন এবং মানুষের উপকার করার চেষ্টা করবেন তবেই আপনি সফল হতে পারবেন।
শেষ কথা
আসা করি সিপিএ মার্কেটিং থেকে আয়, সিপিএ মার্কেটিং কি এবং সিপিএ মার্কেটিং কৌশল, সিপিএ মার্কেটিং এর লাভ এসব বিষয় আপনাদের বুঝাতে পেরেছি। আপনি কোন পদ্ধতিতে সিপিএ মার্কেটিং করতে আগ্রহী তা অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন। ধন্যবাদ এতক্ষণ ধৈর্য ধরে পোস্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ।